Translate

রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭

ইঢ্ছা

আমাদের সকলের ইচ্ছা আছে। ছোটো  ইচ্ছা বড় ইচ্ছা নানান ইচ্ছা।শিশুর জন্ম গ্রহণ করার পর স্তন পানের ইচ্ছা জন্মের পর এটা হল প্রথম ইচ্ছা বা যাএার প্রথম সিঁড়ি। তারপরে শৈশব কালে নানা খেলনা পাওয়ার ইচ্ছা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইচ্ছার আয়তনও বাড়তে থাকে। ইচ্ছা টা দরকারও বটে তবে এই ইচ্ছা গুলো পুরণের চাইতে ত্যাগ  করে মহিলারাই। ধরা যাক বাড়িতে বড় মাছ এল ছোট্ট মাছের পিস টা কিন্তু মায়ের পাতেই পড়ে। মুরগীর লেগ পিস,  ইলিশ মাছের পেটি  বা ধরুন  বোয়াল মাছের লেজা কোনটাই মায়ের পাতে দেখা যায় না বা দেখতে পাওয়ার নজির বিরল। কিন্তু পরিবারের সকলের রসনা তৃপ্তির জন্য পরিশ্রম করে রান্না করার পর কি কখনও ইচ্ছা হায়না যে আজ সেরা টুকরোটা খেলে কেমন লাগত। সেকাল থেকে একাল অবধি কিছু কিছু জিনিস অপরিবর্তিতই রইল তবে দৈনন্দিন জীবনে আমরা সকলেই অল্পবিস্তর ইচ্ছার মুখ চেপে ধরি। যেমন অফিসের বসের  উপেক্ষা বা  অবজ্ঞা সুর শুনে অনেকেরই ইচ্ছা হয় দি বেটার গালে কশিয়ে বা দি resignation টা ছুড়ে কিন্তু হয়না হঠাৎ বহু আকাঙ্ক্ষিত মনের আশা পুরণ হলে ইচ্ছা হয় অনেক উঁচু বিল্ডিং এর ছাদে উঠে প্রাণ খুলে চিৎকার  করি কিন্তু হয় না। হৃদয় বিদারী আঘাত পেয়ে ইচ্ছা হয় চিৎকার করে কাঁদি কিন্তু পারি না। সমাজের অঅনেক নোংরামি দেখে ইচ্ছা হয় এই দুই হাতে চাবকে সোজা করি ঐ নৃশংস ক্রীমিনাল গুলোকে যারা নারী  শরীর উপভোগ করা কে জন্মসিদ্ধ অধিকার মনে করে।এই ইচ্ছাটা বড়ই শক্ত কিন্তু তৃপ্তি দায়ক তাও পারিনা। এই সব ইচ্ছা রোজ আমাদের মনে কোথায় উকিঁ ঝুঁকি মারে আর আমরা ইশারা করে ইচ্ছা র মুখে আঙুল দিতে বলি। কি করা যায় সমাজে যা ইচ্ছা তাই করার অধিকার কিছু কিছু জন্তু রূপীমানব বা  মানব রূপী জন্তুরই আছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন